অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৫ পিএম
নারী অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে
হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। আগে ব্যাট করে ৬৮ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
জবাবে ৩৬ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে শিরোপা ঘরে তোলে ভারতের নারীরা। এবারই
প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই আসর।
প্রথম আসরেই বিশ্বকাপ শিরোপা জেতায় ভারতজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। পচেফস্ট্রুমের বাইশ গজে ইংল্যন্ডকে বধ করা সেই দলে আছেন তিন বাঙালি কন্যা। যাদের দাপুটে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা পশ্চিমবঙ্গও। বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা দলে তিন বাঙালি কন্যা হলেন তিতাস সাধু, রিচা ঘোষ ও ঋষিতা বসু।
ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন
তিতাস সাধু। প্রথম ঝলকে তার বোলিং অ্যাকশন দেখলে মনে হবে যেন, ঝুলন
গোস্বামীর ছোটবেলা। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে ইংল্যান্ডের টপ
অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন তিতাস। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ফাইনাল ইংল্যান্ড
মাত্র ৬৮ রানে ধরাশায়ী হয়। এরপর ৩৬ বল বাকি থাকতেই জয়লাভ করে ভারতের
মেয়েরা।
ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভারতের একমাত্র পেসার তিতাস সাধু। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় তিতাসের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিতে না দিতেই হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় খুশির বন্যা বইতে শুরু করেছে। মেয়ের সাফল্যের উচ্ছ্বাসিত বাবা রণদীপ সাধু ও মা ভ্রমর মল্লিক। তিতাসের বাড়িতে সবাই মোবাইলেই খেলা দেখছিলেন। দল জেতার পরে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন তারা।
তবে এদিন তিতাস ছাড়াও বাংলার আরও দুই তারকা ক্রিকেটার প্রথম একাদশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। উইকেটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রিচা ঘোষ। শেষের দিকে নেমে অপরাজিত থাকেন বাংলার আর এক কন্যা ঋষিতা বসু।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শিলিগুড়ির হাতিমোড়ে রিচার বাড়িতেও আনন্দের রেশ। ফাইনালে রিচা ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও একটা স্টাম্পিং করেছেন। উইকেটের পেছনেও তাকে বেশ স্বচ্ছন্দ দেখা গেছে। রিচার সব খেলাই দেখেছে তার পরিবারের সদস্যরা। ম্যাচের শেষে বাড়ির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন রিচা। তার মা জানান মেয়ে বাড়িতে ফিরলে এই জয় আবারও উদযাপন করা হবে।
এদিকে
ম্যাচ শেষ হতেই রংমশাল ও আতসবাজিতে ছেয়ে গেছে হাওড়ার মেয়ে ঋষিতা বসুর
বাড়ির অলিগলি। হাওড়ার বিবেকানন্দ পল্লীর বাড়িতে জয়ের আনন্দে পালিত হয়
অকাল দিওয়ালি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মিষ্টি বিতরণ করা হয় পাড়ায়।
ঋষিতার মা মালবিকা বসুর বলেন, ‘'মেয়ে তো মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল যে, ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। মেয়ের আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যিই ভাল লাগছিল। কিন্তু ভীষণ টেনশন হচ্ছিল। এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।'
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
© 2023 Dinkal24 All Rights Reserved.