গেল জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই ইনজুরির কারণে দেশে ফিরে আসেন দেশসেরা ওপেনার। দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিকেল বিভাগ জানিয়ে দেয় অন্তত ২ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। সে কারণেই খেলতে পারেননি দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এমনকি আসন্ন বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন ইনজুরির কারণে। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। গতকাল খেলতে গেছেন নেপালের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর এভারেস্ট ক্রিকেট লীগে। আর সেখানে জানা যাবে কতটা ইনজুরিমুক্ত আর ফিট দেশসেরা এই ব্যাটার।
বলা চলে তামিমের ইনজুরির পরীক্ষাটাই সেখানে। এ বিষয়ে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘তামিমের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লীগে খেলাটা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ। ম্যাচগুলোর মধ্যে বোঝা যাবে স্কিল ও অন্যান্য বিষয়গুলোতে ও কতটা ফিট হয়ে উঠেছে। এগুলো পর্যবেক্ষণের পর আমরা ওর খেলার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’
এভারেস্ট লীগে ভালো করলে কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম! বিশ্বকাপ দলে কি তাকে ফেরানো হবে! তবে সেই প্রশ্ন পরে কারণ, তামিম নিজেই বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন। তবে নভেম্বরে পাকিস্তান দল বাংলাদেশ সফরে খেলবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেটির জন্য এই ওপেনার প্রস্তুত থাকবেন তো? এ বিষয়ে দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের যে অবস্থা, তামিম বেশ কনফিডেন্স পাচ্ছে। স্কিল ট্রেনিংগুলো করতে পারছে। ও শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছে। কিন্তু খেলার ব্যাপারটা অন্যরকম। ও যতক্ষণ প্রকৃত খেলার মধ্যে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিকমতো নিজেকে বিচার করতে পারবে না। তাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করাটা আমরা মনে করছি খুব গুরুত্বপূর্ণ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। এর ফিডব্যাকের ওপর নির্ভর করবে আমরা ভবিষ্যতে কিভাবে আগাবো।’
বিদেশ পাঠানো হবে হাসান মাহমুদকে
এই সফরের শুরুতে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানেই তিনি ইনজুরি আক্রান্ত হন। দেশে ফিরে আর মাঠে নামতে পারেননি। জটিল ইনজুরি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎই আছেন রিহ্যাব প্রক্রিয়ায়। এখন তার উন্নতি হলেও প্রয়োজন প্রোপার বায়োমেকানিক্যাল বোলিং অ্যাসেসমেন্টের। তাই তাকে পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। এ বিষয়ে দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘হাসান মাহমুদ আমাদের তত্বাবধানে দীর্ঘ সময় পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ভাবে ওর পরীক্ষা ও নিরীক্ষা করেছি, স্ক্যানিং করেছি। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা খুব একটা সমস্যা খুঁজে পাইনি। আমরা মনে করছি ওর একটা প্রোপার বায়োমেকানিক্যাল বোলিং অ্যাসেসমেন্ট দরকার। যেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের এখানে সম্ভব না। এখন চেষ্টা করছি বিদেশে যেখানে এই সুযোগ-সুবিধাগুলো আছে সেখানে পাঠিয়ে ওর ফুল অ্যাসেসমেন্ট জন্য। করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে এখন রেস্ট্রিকশন রয়ে গেছে। আমরা দুই-তিন জায়গায় কথা বলছি। সব যদি আমরা ঠিক মতো পারি আশা করছি আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে আমরা ওকে দেশের বাইরে কোথাও পাঠাতে পারবো টোটাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য।