সেই ফাইনালের পর বিপিএলে অন্য তৌহিদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৯ পিএম

সিলেট স্ট্রাইকার্স যেন বিপিএলের উড়ন্ত বলাকা, জয়ের ডানায় উড়ে বেড়াচ্ছে। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারানোর পর বর্তমান রানার্সআপ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও জয় তুলে নেয়। মাশরাফির দল গতকাল হারাল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। এককথায় দারুণ ক্রিকেট খেলছে দলটি। তৌহিদ হৃদয় ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলছেন ম্যাচ বাই ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ বধের কারিগর তিনি। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তাঁর দখলে।

অথচ গত বিপিএলের ফাইনালে এই তৌহিদের কারণেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরে গেছে ফরচুন বরিশাল। ম্যাচ শেষে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন খুব রেগে গিয়েছিলেন তাঁর ওপর। সে দিনের সেই অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা হিসেবেই কি নিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এ ব্যাটার? ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নিজেকে ভেঙে গড়ে তোলার গল্প, 'গত বছর যখন খারাপ খেলছিলাম। খেলার পর থেকেই চেষ্টা করছিলাম, কীভাবে উন্নতি করা যায়। তার পর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছি, চেষ্টা করেছি টি২০তে কীভাবে উন্নতি করা যায়। কিছু শট নিয়ে কাজ করেছি। কিছু ছোট ছোট জিনিস পরিবর্তন করায় ভালো হয়েছে।' বরিশালের বিপক্ষে ৩৪ বলে করেন ৫৫ রান। সাতটি চার ও এক ছক্কায় স্ট্রাইকরেট রেখেছেন ১৬১.৭৬। গতকাল ১৫১.৩৫ স্ট্রাইকরেটে ৩৭ বলে করেন ৫৬ রান। তৌহিদের ঝোড়ো ইনিংসের দুটি ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছে সিলেট। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা তৌহিদ স্মৃতিকাতর হলেন, 'আসলে ওই বিপিএলে ওই ম্যাচটা হারার পর আমি মানসিকভাবে অনেক আপসেট ছিলাম, সত্যি কথা। যদি একটা বাউন্ডারি মারতে পারতাম, খেলাটা চেঞ্জ হতো। শেষ বল পর্যন্ত দলের বিশ্বাস ছিল, আমি ম্যাচটি জেতাব। কিন্তু পারিনি। তার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছি রেঞ্জ হিটিংয়ে উন্নতি করার।'

প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান করে কুমিল্লা। জাকির আলী হাফ সেঞ্চুরি করেন ৪৩ বলে। দুটি চার আর তিন ছক্কায় ৫৭ রান। আমিরাত লিগে যোগ দেওয়ার আগে ডেভিড মালান খেলেন ৩৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে দুই ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন ইংলিশ এ ক্রিকেটার। সিলেটের থিসারা পেরেরা আর মোহাম্মদ আমির দুটি করে উইকেট নেন। দেড়শ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৌহিদ আর সৈকত আলীর ইমপ্যাক্ট ব্যাটিংয়ে ১৪ বল হাতে রেখে সিলেট জয় নিশ্চিত করে।