অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৬ এএম
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন
প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান
জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি জনগণের কল্যাণে বেশি আন্তরিকতা
ও দরদ দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে সংসদ সদস্য ও
রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার বঙ্গভবনে নিজের আত্মজীবনীমূলক
গ্রন্থ- 'আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি' এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর
ভাষণের সংকলন 'স্বপ্ন জয়ের ইচ্ছা' বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে রাষ্ট্রপতি এ
আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর
বাসসের।
রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে
ধরাসহ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ লেখার প্রেক্ষাপট অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। তিনি
বলেন, বঙ্গবন্ধুই তাঁর রাজনৈতিক গুরু, তাঁর কাছেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে যাঁরা তাঁর
সান্নিধ্য পেয়েছেন, তাঁদের সবারই আত্মজীবনী লেখা প্রয়োজন। '৫২-এর ভাষা
আন্দোলন থেকে শুরু করে '৬৬-এর ছয় দফা, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান
মুক্তিযুদ্ধসহ সবকিছুতেই শক্তি জুগিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অনুপ্রেরণা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী,
গ্রন্থ দুটির মূল আলোচক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ
এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল
আহমেদ।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা
খানম 'আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি' বইয়ের প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'বইটি অনেক ঘটনারই সাক্ষী আমি। বিশেষ করে, কলেজজীবন
থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমাকে নাড়া দেয়।'
রাশিদা খানম প্রকাশনা উৎসবের উদ্যোক্তা, বই দুটির লেখক ও রাষ্ট্রপতি আবদুল
হামিদকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, 'এতদিন তাঁর পরিচয় ছিল রাজনীতিবিদ,
আইনবিদ, সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও সর্বশেষ
রাষ্ট্রপতি হিসেবে। আজ আরও পরিচিতি যুক্ত হলো লেখক হিসেবে।'
স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,
'সিনিয়রদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা নতুন প্রজন্মকে
জানানোর প্রয়াস থেকেই রাষ্ট্রপতির ইচ্ছার প্রতিফলন এই পুস্তক রচনা। ভাটির
শার্দূল হিসেবে পরিচিত হামিদ কখনও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিচ্যুত হননি।
সবসময় তিনি এলাকাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।'
তোফায়েল
আহমেদ বলেন, 'লেখক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং আমি একে অপরের বন্ধু
ছাত্রজীবন থেকেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্নেহ করতেন। সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য
হিসেবেও রাষ্ট্রপতি হামিদ কর্মক্ষেত্রে তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন
বিভিন্ন সময়ে।'
পরে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ এবং সংসদ সদস্যদের সম্মানে সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
© 2023 Dinkal24 All Rights Reserved.